বিড়ি-সিগারেটসহ সব ধরনের তামাক পণ্য বিক্রি বন্ধ ঘোষণা করলো স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়
প্রকাশ: ২০২০-০৫-২১ ১০:৪২:০৮ || আপডেট: ২০২০-০৫-২১ ১০:৪২:০৮

করোনা পরিস্থিতিতে বিড়ি-সিগারেটসহ সব তামাকজাত পণ্যের উৎপাদন, সরবরাহ, বিপণন ও বিক্রি সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ। মঙ্গলবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব খাইরুল আলম শেখ ‘সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন, ২০১৮’এর ক্ষমতাবলে এই আদেশ জারি করেন। চিঠিতে বলা হয়েছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তামাককে কোভিড-১৯ সংক্রমণ সহায়ক হিসেবে চিহ্নিত করে এর ব্যবহার নিরুৎসাহিত করার কথা বলছে। ধূমপানের কারণে শ্বাসতন্ত্রের নানাবিধ সংক্রমণ এবং কাশিজনিত রোগ
তীব্র হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। এ বিষয়ে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের একাধিক গবেষণা পর্যালোচনা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সম্প্রতি জানিয়েছে, অধূমপায়ীদের তুলনায় ধূমপায়ীদের কোভিড-১৯ সংক্রমণে মারাত্মকভাবে অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। এছাড়াও গবেষণা দেখা গেছে, কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত ধূমপায়ীর মৃত্যুঝুঁকিও ১৪ গুণ বেশি। কোভিড-১৯ সংক্রমণ মোকাবিলায় ভারতসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সাময়িকভাবে সিগারেট ও তামাকজাত পণ্য ক্রয়-বিক্রয়, সীসা বার, উন্মুক্ত স্থানে পানের
পিক ফেলার মতো বিষয়গুলো নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বাংলাদেশেও কোভিড-১৯ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। চিঠিতে আরও বলা হয়, প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় সরকার কোভিড-১৯ মোকাবিলায় বহুমাত্রিক পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে। স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ ক্রমবর্ধমান কোডিড-১৯ রোগ প্রতিরোধে, শনাক্তকরণ ও চিকিৎসাসেবা প্রদানে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে দেশের তামাক কোম্পানিগুলোকে উৎপাদন, সরবরাহ ও বিপণন করার জন্য শিল্প মন্ত্রণালয় কর্তৃক বিশেষ
অনুমতিপত্র প্রদান করা পরিস্থিতিকে জটিল করে তুলছে। জনস্বাস্থ্য সংক্রান্ত জরুরি অবস্থা মোকাবিলা এবং স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি হ্রাস করতে প্রণীত সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন, ২০১৮-এ সংক্রামক রোগের বিস্তার রোধে বাজার, গণজমায়েত সাময়িকভাবে বন্ধ, দেশের অভ্যন্তরে এক স্থান থেকে অনা স্থানে চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু তামাক কোম্পানিগুলো শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে প্রাপ্ত নির্দেশনার অজুহাতে এ আইন লঙ্ঘন করে চলেছে। এ কারণে কোভিড-১৯
সংক্রমণ ঝুঁকি কমানোর পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী তামাকমুক্ত বাংলাদেশ পড়ার প্রত্যয় এগিয়ে নিতে সব তামাক কোম্পানির উৎপাদন, সরবরাহ, বিপণন ও তামাকপাতা ক্রয়-বিক্রয় কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ করার নির্দেশ দিয়ে এ ব্যাপারে চিঠিতে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতাও কামনা করা হয়।করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পাটুরিয়ায় হেঁটে আসা দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষকে
বুঝিয়ে বাসে করে যার যার জায়গায় ফেরত পাঠাচ্ছে মানিকগঞ্জ জেলা পুলিশ। মঙ্গলবার (১৯ মে) বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেন জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) হামিদুর রহমান। আজ বিকেলে পাটুরিয়া ও মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে দুটি মিনিবাসে ৩৫ জন যাত্রীকে ঢাকায় পাঠানো হয়। এরা ঢাকা থেকে মানিকগঞ্জে এসে পায়ে হেঁটে পাটুরিয়া ফেরিঘাটের দিকে যাচ্ছিল। করোনাভাইরাসের কারণে জেলায় চলমান লকডাউনকে জোরদার করতে এই
কার্যক্রম হাতে নিয়েছে জেলা পুলিশ। এএসপি জানান, এক জেলা থেকে অন্য জেলা বা উপজেলাতে এখন প্রবেশ নিষেধ থাকলেও ঢাকা ও আশপাশে থেকে অনেক মানুষ পাটুরিয়া ফেরি ঘাটের উদ্দেশে যাচ্ছিল। তিনি জানান, যানবাহন না চলাচলের কারণে অনেকে পায়ে হেঁটেই পাটুরিয়া ঘাটে যাচ্ছিলেন। পায়ে হাঁটা এসব মানুষকে ঢাকার দিকেই ফেরত পাঠানো হয়েছে। এদিকে আজ সকাল ৯টা থেকে বন্ধ রয়েছে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটের ফেরি চলাচলঘূর্ণিঝড় আম্পান
আঘাত হানতে শুরু করেছে উপকূলীয় জেলা পটুয়াখালীতে। প্রচারণা কাজ চালাতে গিয়ে পানিতে ডুবে সিপিপির টিম লিডার ও গাছের চাপায় এক শিশুসহ দুজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ঘূর্ণিঝড় আম্পানের কারণে সাইক্লোন সেল্টারে লোকজনকে নিরাপদে আশ্রয় নিতে প্রচারণা কাজ চালাতে গিয়ে সকালে নৌকা ডুবে কলাপাড়া উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নের সিপিপির টিম লিডার মোঃ শাহ আলম মারা যান। এদিকে পটুয়াখালীর গলাচিপার পানপট্টি ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের খরিদা গ্রামে
ঘূর্ণিঝড় আম্পানে মো রাশেদ (৫) সন্ধ্যার কিছু আগে আশ্রয় কেন্দ্রে যাবার সময় গাছের ডাল ভেঙ্গে পড়ে নিহত হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মোঃ মতিউল ইসলাম চৌধুরী। এদিকে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটাসহ গোটা উপকুলীয় এলাকায় প্রচণ্ড বেগে ঝড়ো বাতাসের সাথে বৃষ্টি বইছে। সন্ধ্যার পর থেকে সমুদ্রে বড় বড় ঢেউ আঁচড়ে পড়ছে। ঝড়ে গলাচিপার পানপট্টি বাজারের ১০/১২টি দোকান উপড়ে পরেছে। পায়রা নদীর পানি বিপদসীমার ১৭
সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে কলাপাড়ার ও রাঙ্গাবালীর উপজেলার ১৭টি চরের ২০টি গ্রাম পানিতে প্লাবিত হয়েছে। তবে আর কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। এ পর্যন্ত জেলায় ৭৫৩টি সাইক্লোন সেল্টারে সারে ৩ লাখ মানুষসহ ৮০ হাজার গবাদিপশু আশ্রয় নিয়েছে। বিকেল থেকে পটুয়াখালীর বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চল থেকে সাধারণ মানুষদের ট্রলারযোগে মূল ভূখণ্ডে সরিয়ে নেয় প্রশাসন। এদিকে পটুয়াখালীতে প্রচারণা কাজ চালাতে গিয়ে পানিতে ডুবে সিপিপির টিম লিডার
ও গাছের চাপায় এক শিশুসহ দুজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ঘূর্ণিঝড় আম্পানের কারণে সাইক্লোন সেল্টারে লোকজনকে নিরাপদে আশ্রয় নিতে প্রচারণা কাজ চালাতে গিয়ে সকালে নৌকা ডুবে কলাপাড়া উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নের সিপিপির টিম লিডার মোঃ শাহ আলম মারা যান। এদিকে পটুয়াখালীর গলাচিপার পানপট্টি ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের খরিদা গ্রামে ঘূর্ণিঝড় আম্পানে মো রাশেদ (৫) সন্ধ্যার কিছু আগে আশ্রয় কেন্দ্রে যাবার সময় গাছের ডাল ভেঙ্গে পড়ে নিহত হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মোঃ মতিউল ইসলাম চৌধুরী।