বেঁচে থাকলে অনেক ঈদ করতে পারবেন, ঝুঁকি নিয়ে বাড়ি গিয়ে ঈদ করা যেন শেষ ঈদ না হয়: আইজিপি
প্রকাশ: ২০২০-০৫-২১ ১০:৩৩:৪৫ || আপডেট: ২০২০-০৫-২১ ১০:৩৩:৪৫

সরকারি আদেশ অমান্য করে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন শহর থেকে গ্রামের বাড়ি যাওয়ার প্রবণতা করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে উল্লেখ করে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ বলেছেন, মনে রাখবেন, বেঁচে থাকলে অনেক ঈদ করতে পারবেন, কিন্তু ঝুঁকি নিয়ে বাড়ি গিয়ে ঈদ করা যেন শেষ ঈদ না হয়। আপনার কারণে শুধু আপনি নন, আপনার পরিবারের সদস্যরাও মৃত্যুঝুঁকিতে পড়তে পারেন। আজ মঙ্গলবার (১৯ মে) দুপুরে রাজারবাগ পুলিশ অডিটোরিয়ামে গণমাধ্যমের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর ও করোনাভাইরাস মহামারির প্রেক্ষাপটে আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ে এ মতবিনিময়ের আয়োজন করা হয়। আইজিপি বলেন, গত এপ্রিল মাসে দেশে মাত্র ২৪ জেলা করোনা সংক্রমিত ছিল। কিন্তু পরে নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে গমনাগমনের ফলে সংক্রমণ সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতিদিনই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। ‘করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর মিছিলে আপনি শুধু একটি সংখ্যা, কিন্তু পরিবারের
কাছে আপনি গোটা পৃথিবী। সুতরাং যে যেখানে আছেন, দয়া করে সেখানে অবস্থান করুন। যারা বিভিন্ন উপায়ে বাড়ি যাওয়ার চেষ্টা করছেন, তারা ফিরে আসুন। প্রয়োজনে পুলিশ আপনাদেরকে সহায়তা করবে।’ পুলিশপ্রধান বলেন, বর্তমান করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কিভাবে দায়িত্ব পালন করবে শুরুতে তা জানা ছিল না। পরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছ থেকে অভিজ্ঞতা ও মতামত নিয়ে এসওপি তৈরি করা হয়।
বর্তমানে সারাদেশে এই এসওপি অনুসরণ করে পুলিশ বাহিনী দায়িত্ব পালন করছে। তিনি বলেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। মাত্র দেড় মাসের মধ্যে করোনাভাইরাস শনাক্তকরণে ল্যাবরেটরি স্থাপন করা হয়। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকারি নির্দেশনানুসারে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলারও অনুরোধ জানান আইজিপি।সরকারি আদেশ অমান্য করে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন শহর থেকে গ্রামের বাড়ি যাওয়ার প্রবণতা
করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে উল্লেখ করে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ বলেছেন, মনে রাখবেন, বেঁচে থাকলে অনেক ঈদ করতে পারবেন, কিন্তু ঝুঁকি নিয়ে বাড়ি গিয়ে ঈদ করা যেন শেষ ঈদ না হয়। আপনার কারণে শুধু আপনি নন, আপনার পরিবারের সদস্যরাও মৃত্যুঝুঁকিতে পড়তে পারেন। আজ মঙ্গলবার (১৯ মে) দুপুরে রাজারবাগ পুলিশ অডিটোরিয়ামে গণমাধ্যমের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন। আসন্ন পবিত্র ঈদুল
ফিতর ও করোনাভাইরাস মহামারির প্রেক্ষাপটে আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ে এ মতবিনিময়ের আয়োজন করা হয়। আইজিপি বলেন, গত এপ্রিল মাসে দেশে মাত্র ২৪ জেলা করোনা সংক্রমিত ছিল। কিন্তু পরে নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে গমনাগমনের ফলে সংক্রমণ সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতিদিনই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। ‘করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর মিছিলে আপনি শুধু একটি সংখ্যা, কিন্তু পরিবারের কাছে আপনি গোটা পৃথিবী। সুতরাং যে যেখানে আছেন, দয়া করে সেখানে অবস্থান করুন। যারা বিভিন্ন উপায়ে বাড়ি যাওয়ার চেষ্টা করছেন, তারা ফিরে আসুন। প্রয়োজনে পুলিশ
আপনাদেরকে সহায়তা করবে।’ পুলিশপ্রধান বলেন, বর্তমান করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কিভাবে দায়িত্ব পালন করবে শুরুতে তা জানা ছিল না। পরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছ থেকে অভিজ্ঞতা ও মতামত নিয়ে এসওপি তৈরি করা হয়। বর্তমানে সারাদেশে এই এসওপি অনুসরণ করে পুলিশ বাহিনী দায়িত্ব পালন করছে। তিনি বলেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। মাত্র দেড় মাসের মধ্যে করোনাভাইরাস শনাক্তকরণে ল্যাবরেটরি স্থাপন করা হয়। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকারি নির্দেশনানুসারে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলারও অনুরোধ জানান আইজিপি।
চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলায় প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে লুকিয়ে দোকান খুলে ১০ হাজার টাকা জরিমানা গুণতে হয়েছে এক ব্যবসায়ীকে। দোকানটির শাটার বন্ধ থাকলেও ভেতরে থাকা এক শিশুর কান্নার আওয়াজে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারহানা জাহান উপমার হাতে ধরা পড়েন দোকান মালিক। গতকাল সোমবার দুপুরে পটিয়া পৌর শহরের ছবুর রোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, পটিয়া পৌর শহরের ওই এলাকায় প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে
কিছু ব্যবসায়ী দোকানপাট খুলেছেন বলে ইউএনও ফারহানা জাহানের কাছে খবর আসে। পরে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে দোকানপাট বন্ধ দেখতে পান। তবে একটি দোকানের ভেতরে শিশুর কান্নার আওয়াজ পেয়ে ইউএনও এগিয়ে যান। নিজেই শাটার টেনে তোলেন। এ সময় তিনি দোকানের ভেতরে মায়ের কোলে এক শিশুসহ পাঁচ থেকে ছয়জন ক্রেতাকে দেখতে পান। প্রচণ্ড গরমের মধ্যে অন্ধকারে কোনোরকম স্বাস্থ্য বিধি না মেনেই ক্রেতাকে ভেতরে রেখে লোক দেখানো বন্ধ দোকানে বেঁচাকেনা করছিলেন দোকান মালিক। পরে স্বাস্থ্য বিধি না মেনে দোকান খোলা রাখায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে দোকান মালিককে ১০ হাজার
টাকা জরিমানা করা হয়। এদিকে ইউএনও ফারহানা জাহান উপমা ওই নারীকে শিশু সন্তানসহ দোকানে আসার কারণ জানতে চাইলে তিনি জানান, মোবাইলের এয়ারফোন কিনতে এসেছেন তিনি। পরে স্বাস্থ্য বিধি না মেনে বিনা প্রয়োজনে বাইরে ঘুরে বেড়ানোর দায়ে ওই নারীকেও ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়। এ বিষয়ে ইউএনও ফারহানা বলেন, ‘শাটার বন্ধ করা দোকানটির ভেতরে বাচ্চাটি গরমে কান্না করছিল। তাদের একটু অসচেতনতার কারণে বাচ্চাটি স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে